অলিভারের বয়স যখন নয় বছর পূর্ণ হলো তখন তাকে নিয়ে আসা হলো এতিমখানার প্রধান কেন্দ্রে। কেন্দ্রের অন্যতম কর্মকর্তা মিঃ বাম্বল অলিভারের নাম রাখলেন- অলিভার টুইস্ট। এতিমখানায় পেট পুরে খেতে দেয়া হতো না, আধপেটা খেয়ে সে একেবারে কঙ্কালসার হয়ে গেল। একদিন আরেকটু খেতে চাইবার কারণে অলিভারকে মিঃ সোয়ারবেরী নামে এক কফিন ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দেয়া হলো। মিসেস সোয়ারবেরী কিশোর অলিভারকে দেখে খুশি হতে পারলেন না। তাদের বাড়িতে তাকে কাজের ছেলে হিসেবে থাকতে হতো। সবার খাওয়া হলে যা বাঁচতো তাই তাকে খেতে হতো। শুতে হতো টেবিলের নিচে, আর পান থেকে চুন খোয়া গেলেই শুনতে হতো কটুকথা। মারধোর করা হতো। কয়েকদিনের মধ্যে অলিভারের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলো, একদিন ভোরবেলা সেখান থেকে পালিয়ে পায়ে হেঁটে লন্ডন যাত্রা করলো।
About This Books