About This Books

ইসলাম প্রসারে  বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা

ইসলাম প্রসারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা

  • Author: মুহাম্মদ মাহ্বুবুর রহমান
  • Publisher: আগামী প্রকাশনী
  • Category: জীবনী
  • ISBN: 9789840424733
  • Status: FREE
0 Review

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাহসী রাজনীতিবিদ, সফল রাষ্ট্রনায়ক ও আদর্শ ব্যক্তিত্ব। শিক্ষা—সংস্কৃতি, শিল্প—বাণিজ্য তথা সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁর অবদান বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। একই সাথে ধমীর্য় শিক্ষা—সংস্কৃতি ও ধমীর্য় পরিবেশের উন্নয়নেও তাঁর অবদান অপরিসীম। একই ধারায় আরও দূবার্র গতিতে এগিয়ে চলছেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব—জন—নন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে তাঁদের অবদান জনসমক্ষে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে গ্রন্থ রচনা করেছেন মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এ গ্রন্থে লেখক বাংলাদেশের সমাজ—সংস্কৃতিতে ইসলামি ভাবধারা সৃষ্টি ও বিকাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপুল অবদান সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। গ্রন্থকার মুহাম্মদ মাহ্বুবুর রহমান আলোচ্য গ্রন্থটি রচনা করে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছেন বলে আমি মনে করি। উক্ত গ্রন্থটি সমকালীন আর্থ—সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে। গ্রন্থকার উদ্যোগী হয়ে যে মহৎ কাজটি সূচনা করলেন বর্তমান প্রজন্মের জন্য এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাঁর মতো উৎসাহী লেখকরা এগিয়ে এসে ইতিহাসের এই মহাপ্রাণ ব্যক্তিদের জীবনী জাতির সামনে তুলে ধরলে উপকৃত হবে আমাদের দেশ, জাতি ও আগামী প্রজন্ম।

Summary

Tab Article

প্রসঙ্গকথা শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার—প্রসার, উন্নয়ন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয়প্রধানের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এর পর থেকে ৪০ বছর নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের অসা¤প্রদায়িক—গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অন্য রাজনৈতিক জোট—দলগুলো ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণ—আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিজয়ী হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এই পর্যন্ত চার মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি। ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে ২৩ জুন সরকার গঠন করে তারা। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে চার—তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০১৪—এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় এবং ২০১৮—এর নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা তৃতীয় মেয়াদে তাঁর নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছে। এছাড়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে অর্থাৎ মোট তিন দফা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন—সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ১৯৯৬—২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি তাঁর সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের কাণ্ডারিসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা—দারিদ্র্যমুক্ত ও মধ্যম আয়ের আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে নিয়োজিত আছে। অতি স¤প্রতি মিয়ানমার সরকারের ভয়াবহ নির্যাতনে আশ্রয়হীন ৮ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে নাড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বকে। আজ সারা বিশ্বেই তাঁর নাম আলোচিত হচ্ছে ‘বিশ্বমানবতার বিবেক’ হিসেবে। জাতিসংঘের চলতি অধিবেশনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁর এই মানবিক দৃষ্টান্তের প্রশংসা করেছেন। নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ়চেতা মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলি তাঁকে আসীন করেছে বিশ্বনেতৃত্বের আসনে। এই অঞ্চলে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারীশিক্ষার বিস্তার, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস ও দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশি—বিদেশি বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। বাগদাদের ইসলাম প্রচারক শেখ আব্দুল আওয়াল (রহ.)—এর বংশধর শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ইসলাম প্রসারে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাঁর সরকারের আমলে ইসলামের খেদমতে নানা কর্মসূচি আলেম—উলামাদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোবাসায় ও সহমর্মিতায়ও বাংলার মানুষের কাছে প্রিয়। বাংলার মানুষের অতি আপনজন, একজন মমতাময়ী মা। তাই তো আজ তিনি বাংলাদেশের জনগণের হয়ে বিশ্বনন্দিত। তিনি বিশ্বের শীর্ষ নারী শাসকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। বুদ্ধিমত্তায় প্রখর, সহনশীলতা ও দৃঢ়তা, ধৈর্য যেন তাঁর চরিত্রগত ধর্ম। পিতার মতো অসীম সাহসী, দৃঢ়তায় অবিচল, দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন একজন আদর্শবাদী নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। আলোচ্য বিষয়গুলো মূলত উঠে এসেছে গ্রন্থটিতে। ইসলাম প্রসারে যাঁর এত অনন্য ভূমিকা তাঁকেই ‘ইসলাম প্রসারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা’ নামেই যথার্থ বলছি আমরা। আমি কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম মহানগরীর সম্মানিত সহসভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক এবং চট্টগ্রাম দারুল উলুম কামিল (অনার্স—মাস্টার্স) মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সম্মানিত সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের প্রতি। তিনি আলোচ্য গ্রন্থ রচনায় আমাকে বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ ও সহযোগিতা করেছেন। আরো কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বঙ্গবন্ধু গবেষণাকেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. ফয়সাল কামাল চৌধুরী, দারুল উলুম কামিল (অনার্স—মাস্টার্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সদস্যসচিব মুহাম্মদ মুহসিন ভূঁইয়া, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার ওমর ফারুক, সাংবাদিক আখতার হোসাইন ও অন্যদের প্রতি যাঁরা বিভিন্নভাবে আমাকে সাহায্য—সহযোগিতা করেছেন। আরো কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তাঁদের প্রতি যাঁরা এ পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করতে এবং গ্রন্থাকারে করতে নিষ্ঠার সাথে সহযোগিতা করেছেন। মুহাম্মদ মাহ্বুবুর রহমান চট্টগ্রাম

Related Books